Header Ads

Header ADS

দেশ ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় নিয়োজিতদের ফযীলত

 

দেশ ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় নিয়োজিতদের ফযীলত

দেশ ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় নিয়োজিতদের ফযীলত

نحمده ونصلى على رسومه الكريم اما بعد!

مَا عِنْدَكُمْ يَنْفَدُ وَمَا عِنْدَ اللهِ بَاقٍ

আল্লাহ তাআলা কুরআনে কারীমে ইরশাদ করেন- দুনিয়ার যতই ধনসম্পত্তি, সুখের সামগ্রী তোমাদের কাছে থাকুক না কেন, আহা! সমস্তই একদিন না একদিন ফুরিয়ে যাবেই যাবে।’ (সুরা নাহল : আয়াত ৯৬)

অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে- মাল এবং সন্তান-সন্ততি, ধন এবং জন দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী জীবনের একটা স্ফুর্তির জিনিস মাত্র। বস্তুত নেক আমলসমূহ যা চিরকাল বাকী থাকবে, তাই হচ্ছে আল্লাহর সমীপে আশা পূর্ণ হওয়ার; বরং আশার চেয়েও অধিক মনঃপুত পুরস্কার পাওয়ার জিনিস। সুরা কাহাফ : ৪৬

দেশ ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় নিয়োজিতদের ফযীলত

মুসনাদে আহমাদের মধ্যে রয়েছে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- যে ব্যক্তি মুসলমানদের সীমান্তের কোন প্রাপ্তে তিন দিন প্রহরায় নিযুক্ত থাকে তাকে সারা বছর ধরে প্রহরায় নিযুক্ত থাকার প্রতিদান দেয়া হবে।

অন্য হাদীসে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- আল্লাহর পথে এক ঘন্টা পাহারা দেয়া এক হাজার রাত্রির ইবাদত হতে উত্তম যে রাত্রিগুলো দাঁড়িয়ে এবং দিনগুলো রোযায় কাটিয়ে দেয়া হয়।

জামেউত তিরমিযীতে রয়েছে যে, হযরত শুরাহবিল ইবনে সামত রা. সীমান্ত প্রহরায় নিযুক্ত ছিলেন। বহুদিন অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পর তিনি কিছু সংকীর্ণ মনা হয়ে পড়েছিলেন। এমন সময় হযরত সালমান ফারেসী রা. তাঁর নিকট পৌঁছেন এবং বলেন, আমি তোমাকে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একটি হাদীস শুনাবো। তিনি বলেছেন : একদিন সীমান্ত প্রহরায় নিযুক্ত থাকা এক মাসের রোযা ও দাঁড়িয়ে ইবাদত হতে উত্তম। যে ব্যক্তি ঐ অবস্থাতেই মারা যায় সে কররের শাস্তি হতে মুক্তি পায় এবং কিয়ামত পর্যন্ত তার কাজ চালু থাকে।

সুনানে ইবনে মাজার মধ্যে রয়েছে যে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- মুসলমানদেরকে নিরাপদে রাখার উদ্দেশ্যে একরাত্রি আল্লাহর পথে পাহারা দেয়া একশ বছরের ইবাদত অপেক্ষা উত্তম, যদিও ঐ রাত্রি রমযানের রাত্রি না হয়, যে একশ বছরের দিনগুলো রোযায় এবং রাত্রিগুলো তাহাজ্জুদে কাটিয়ে দেয়া হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Please do not enter any spam link in the comment box.

Blogger দ্বারা পরিচালিত.