Header Ads

Header ADS

তাকওয়া বা আল্লাহর ভয় সবচেয়ে বড় ইবাদত

 

তাকওয়া বা আল্লাহর ভয় সবচেয়ে বড় ইবাদত

তাকওয়া বা আল্লাহর ভয় কিভাবে আসবে? তাকওয়া বা আল্লাহর ভয় আমাদের মাঝে এসেছে তা আমরা কিভাবে বুঝব? তাকওয়া বা আল্লাহর ভয় অর্জন হয়েছে কি না? তা আমরা এভাবে বুঝতে পারি যে, আমাদের প্রতিটি কাজ, প্রতিটি বিষয় সবসময় আল্লাহ তায়ালা দেখতেছেন কোন কিছুই তার নিকট গোপন নয়। আল্লাহ তায়ালা বলেন:- اَلَمْ تَعْلَمْ بِاَنَّ اللهَ يَرَى

হে নবী! আপনি কি জানেন না? আল্লাহ তায়ালা সব কিছু দেখেন। অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন:- وَهُوَ مَعَكُمْ اَيْنَمَا كُنْتُمْ

তোমরা যেখানেই থাকনা কেন আল্লাহ তায়ালা তোমাদের সাথে রয়েছেন। কাজেই যদি অন্তরে তাকওয়া বা আল্লাহর ভয় থাকে তাহলে সে কোন সময় আল্লাহর নাফরমানী করতে পারবেনা। সাধারনত দুনিয়ার রীতি-নীতি অনুসারে দেখা যায় যে, যদি কোন মুরিদ মনে করে আমার শায়খ আমার সাথে রয়েছেন। তখন সে স্বীয় শায়খের ভয়ে সিগেরেট খাবে না। যদি চোর মনে করে পুলিশ আমাকে দেখতেছে। তাহলে সে কোন সময় চুরি করবেনা। এমনিভাবে যদি ছেলে মনে করে আমার বাবা আমার সাথে রয়েছেন। তাহলে সে কোন সময় যিনা-ব্যবিচার করবে না। কাজেই মুরিদ যদি শায়খের ভয়ে সিগেরেট না খায়, চোর যদি পুলিশের ভয়ে চুরি না করে এবং ছেলে যদি বাবার ভয়ে যিনা-ব্যবিচারে লিপ্ত না হয়। তাহলে যার মধ্যে তাকওয়া বা আল্লাহর ভয় থাকবে সে কোন সময়, কোন অবস্থাতে আল্লাহর নাফরমানী করতে পারেনা। সূতরাং আল্লাহর নাফরমানী থেকে বাঁচা গোনাহর কাজ থেকে বিরত থাকাই হলো সবচেয়ে বড় ইবাদত।

আল্লামা রূমী রহ. বলেন: آدميت لحم وشحم پوست نيست ٭ آدميت جز رضائےدوست نيست

অর্থ : হাড্ডী, চামড়া, হাত, পা, চোখ, মুখ ইত্যাদি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দ্বারা গঠিত বস্তুকে প্রকৃতপক্ষে মানুষ বলা হয়না। প্রকৃতপক্ষে তাকেই মানুষ বলা হয় যার উপর তার পরম বন্ধু মহান আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্ট। আর যে তাকওয়া এখতিয়ার করে, গোনাহর কাজ করেনা এবং আল্লাহর নাফরমানি থেকে বেঁচে থাকে। তাকেই তিনি ভালবাসেন, তার উপরই তিনি সন্তুষ্ট থাকেন।

 
সালেকীনদের নিয়মিত আমল ‘জবানী যিকির’ Regular Period Of Salekin

কোন মন্তব্য নেই

Please do not enter any spam link in the comment box.

Blogger দ্বারা পরিচালিত.