Header Ads

Header ADS

মেহমান ও বন্ধু-বান্ধবের হক

                                         

 

মেহমানের হক

মেহজবানের (গৃহকর্তার) উপর মেহমানের কিছু হক আছে, যেমন-

১. আগমনের সময় হাস্যোজ্জ্বল মুখে অভ্যর্থনা জানানো। বিদায়ের সময় অন্ততঃ বাড়ীর গেট পর্যন্ত সংগে যাওয়া।

২. তার জরুরত ও আরামের প্রতি লক্ষ্য রাখা।

৩. বিনয় ও নম্রতার সাথে ব্যবহার করা এবং নিজ হাতে তার খেদমত করা।

৪. খাওয়া-দাওয়া কমপক্ষে একদিন (মাধ্যম পর্যায়ের) ভাল আয়োজন করা। এত বেশিও না যাতে নিজের ক্ষতি হয়, আবার কমও না যাতে কৃপনতা প্রকাশ পায়। অন্ততঃ তিনদিন তার মেহমানদারী করা- এটা তার পাওনা হক। তারপরও যদি মেযবান আতিথিয়তা করে তবে তা তার এহসান হবে। মেহমানের জন্যও অধিক অবস্থান করে বা অযথা ফরমায়েশ করে অথবা বাড়ীওয়ালার থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাপনায় দখল দিয়ে মেযবানকে কষ্ট দেওয়া উচিত হবে না।

বন্ধু-বান্ধবের হক

কুরআনে মজীদে বিশেষ বন্ধু-বান্ধবকে ঘনিষ্ঠতম আত্মীয়-স্বজনদের সাথে উল্লেখ করা হয়েছে। তাদেরও কিছু হক আছে, যথা-

১. যার সাথে বন্ধুত্ব করবে তার আকীদা-আমল, লেন-দেন, আখলাক-চরিত্র উত্তম রূপে যাচাই করে নিতে হবে। উল্লেখিত বিষয়ে উপযুক্ত পেলে বন্ধুত্ব করবে। নতুবা দুরে থাকা বাঞ্ছনীয়। অসৎসঙ্গ থেকে বেঁচে থাকার জোর তাকিদ এসেছে। অভিজ্ঞতা ও প্রত্যক্ষ দশর্নেও এর ক্ষতিসমূহ উপলব্দি করা যায়। উপযুক্ত পাত্র পেলে বন্ধুত্ব করতে বাধা নেই, বরং সত্যিকার বন্ধুত্ব বড় সুখকর হয়।

২. নিজের জান-মাল তার জন্য ব্যয় করতে কৃপণতা করবে না।

৩. মনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন কাজ তার থেকে প্রকাশ পেলে মাফ করে দিবে। ঘটনাক্রমে মনোমালিন্য দেখা দিলে তৎক্ষণাৎ সম্পর্ক ঠিক করে নিবে। সাধারণ ব্যাপাকে জটিল ও দীর্ঘ হতে দিবে না।

৪. বন্ধুত্ব হিত কামনায় ক্রুটি করবে না। সুপরামর্শদানে কৃপনতা দেখাবে না এবং বন্ধুর পরামর্শও আন্তরিকভাবে শ্রবণ করবে। বাস্তবায়ন যোগ্য হলে গ্রহণও করা চাই। এখানে উল্লেখ্য যে, আমাদের দেশে পালকপুত্রকরণের যে প্রথা প্রচলিত আছে, যাতে পালকপুত্রকে সকল ক্ষেত্রে আপন সন্তানতুল্য মনে করা হয় শরীয়তের দৃষ্টিতে এটা ভিত্তিহীন।পালকপুত্র বন্ধু-বান্ধবের মতই। যেহেতু তার সাথে সম্পর্কের কিছুটা গভীরতা রয়েছে, তাই তাকে বন্ধুত্বের বিধানে আনা যায়। কিন্তু উত্তরাধিকার ইত্যাদি সে পাবে না। কেননা, উত্তরাধিকার ইচ্ছাধীন বস্তু নয় যে, যাকে ইচ্ছা ওয়ারিশ বানাবে আর যাকে ইচ্ছা বহ্চিত করবে।

এ থেকে এটাও প্রমাণিত হয় যে, মৃত্যুর সময় কোন সন্তান সম্পর্কে এ উক্তি করা যে, অমুককে মিরাস বা উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হোক শরীয়তের দৃষ্টিতে এটা অন্যায় ও গর্হিত কাজ। কেননা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে যে, উত্তরাধিকার সুত্রটা মানুষের ইচ্ছাধীন বিষয় নয়।

 

কোন মন্তব্য নেই

Please do not enter any spam link in the comment box.

Blogger দ্বারা পরিচালিত.